কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
ঐতিহ্যবাহী আরজত আতরজান উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর স্থানীয় এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্কুলটির মোট ১৩৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে মাত্র ৫২ জন। এতে বিদ্যালয়ের পাসের হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩৮.৮১ শতাংশ, যা বিগত বছরের তুলনায় আশঙ্কাজনকভাবে কম।
বিভিন্ন শাখায় ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়ঃ
🔹 বিজ্ঞান বিভাগে ৩০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২১ জন।
🔹 ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭ জন পাস করেছে।
🔹 মানবিক বিভাগে সবচেয়ে বাজে ফলাফল দেখা গেছে। ৯৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে মাত্র ২৬ জন।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মানবিক বিভাগের ফলাফল অত্যন্ত দুর্বল, যা পুরো বিদ্যালয়ের সার্বিক পাসের হারকে নিচে নামিয়েছে। শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে এই ফলাফল নিয়ে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
অনেকে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দুর্বলতা, শিক্ষকের অনুপস্থিতি, পাঠদানের মানের অভাব এবং মনিটরিং-এর ঘাটতিকে দুষছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক বলেন, "স্কুলে নিয়মিত ক্লাস হয় না, শিক্ষকেরা মনোযোগী নন। প্রধান শিক্ষক সঠিক সময়ে অফিসের আসেন না৷স্কুল ও বাসা একসাথে থাকার ফলে বেশি সময় বাসায় আরাম করেন বলে এক অভিবাবক বলেন৷তাই তো ফলাফল এমন হবেই।"
এ নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় শিক্ষাবিদ ও সচেতন নাগরিকরা বলেন স্কুলটি চলছে প্রধান শিক্ষককের মন গড়া মত ৷কেননা কিছু দিন আগে স্কুলে সুনামধন্য দুইজন সিনিয়র শিক্ষক জোনায়েদ হোসেন জুয়েল ও মাহমুদুল ইসলাম মাসুদ সহকারী শিক্ষককে নিয়মনীতি না মেনেই চাকরী থেকে অব্যাহতি দেন৷ এতে করে স্কুলের সাধারন অভিবাবক ও ছাত্রছাত্রীদের মাঝে বিরুপ প্রভাব ফেলেছে৷এতে করে স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের প্রিয় দুইজন শিক্ষক স্কুলে না থাকায় অনেক ছাত্র স্কুলে আসে না৷এমনকি অনেক অভিবাকরা তাদের সন্তানদের অন্য স্কুলে নিয়েও গেছে বলে জানা যায়৷জানা যায় দুইজন অব্যাহতি দেওয়া শিক্ষকগণ কিশোরগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যেন এই বিষয়ে দ্রুত তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নেওয়া হয়৷এই বিষয়ে জেলা শিক্ষা শিক্ষা অফিসের যোগাযোগ করলে তারা বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিবে বলে আশ্বাস দেন৷স্কুলের এসএসসি ফলাফল খারাপ হওয়ার বিষয়ে এলাকার লোকজনের সাথে কথা বললে তারা সরাসরি বলেন একজন দুর্নীতিদায়ে বহিস্কার হওয়ার প্রধান শিক্ষক দ্বারা এর চেয়ে ভালো ফলাফল আশা করা যায় না৷এছাড়াও বলেন এমন অদক্ষ প্রধান শিক্ষক যতদিন স্কুলে থাকবেন ফলাফল আরও খারাপের দিকে যাবে ৷এলাকাবাসীর সাথে কোন কারন ছাড়া স্কুল থেকে ৫জন শিক্ষককে অব্যাহতী দেওয়ার ফলে ফলাফলের কোন প্রভাব পড়েছে কিনা জানতে চাইলে একটু রেগেই বলেন একজন এলাকাবাসী কোন কারন ছাড়া সুনামধন্য মাসুদ স্যার ও জুয়েল স্যারের মত শিক্ষককে অন্যায়ভাবে বিদায় দেওয়ার ফলে নিয়মিত অনেক ক্লাস হয়নি৷এর প্রভাব ফলাফলের পড়েছে ৷অতি শ্রীঘ্রই সুনামধন্য দুইজন শিক্ষককে পুনরাই যোগদান করানো সেই দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী আর দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের বিভাগীয় তদন্ত করা ব্যবস্থা নেওয়া হয়৷