চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:
সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড সমুদ্র উপকূলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন থামছেনা। গত তিনমাস পূর্বে বালু উত্তোলনে বাঁধা দিতে গিয়ে হত্যার শিকার হয়েছেন রাম জলদাস (৩২) নামের একজন জেলে এবং সে সময়ে তার ভাইকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বালু উত্তোলনকারীরা।এরপর বালু উত্তোলন কিছুদিন বন্ধ থাকলেও ঘটনার কয়েক মাস না পেরুতেই আবারো ধারাবাহিকভাবে তিনটি শক্তিশালী ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনে নেমেছে প্রভাবশালী চক্রটি। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছেন ওই এলাকার শতাধিক জেলে।
৬ মে মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে বাড়বকুণ্ড সমুদ্র উপকূলে বালু উত্তোলনে বাঁধা দিলে জেলেদের সঙ্গে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়ায় বালু উত্তোলনকারীরা।এতে ড্রেজার মেশিনের দায়িত্বে থাকা একজন আহত হয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিনটি শক্তিশালী ড্রেজার মেশিন দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবাধে বালি উত্তোলন করছে প্রভাবশালী চক্রটি।এসময় স্থানীয় জেলেরা প্রতিবাদ জানান।প্রতিবাদ জানালে ও তাদের চোখে মুখে ভয়ের ছাপ লক্ষ্য করা যায়।পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বালু উত্তোলনকারীরা ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন।
ভুক্তভোগী জেলেরা জানান, বালু উত্তোলন কারীদের বাঁধা দিতে গিয়ে আমাদের রাম জলদাস হত্যার শিকার হয়েছিলেন।এসব কারণে অনেকেই ভয়ে মুখ খুলছেনা।কেননা তারা নেতাদের প্রভাব বিস্তার করে আমাদের হুমকি ধমকি দেয়।কিন্তু আমাদের আর কত দুর্ভোগ পোহাতে হবে। সমুদ্র সৈকতে বালু উত্তোলনের ফলে আমাদের জাল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।আমরা আর্থিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি।আজকে আমরা ড্রেজার মেশিন গুলো হাতেনাতে ধরেছি।আমরা এসব থেকে পরিত্রাণ পেতে চাই।কেননা পাড় ও জাল নষ্ট হওয়ার কারণে ৩-৪ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এদিকে ড্রেজার মেশিনের দায়িত্বে থাকা আহত ব্যক্তি বলেন, আমাকে অস্ত্র ঠেকিয়ে বাড়বকুণ্ডের সন্ত্রাসীরা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং চারটি মোবাইল নিয়ে যায়।দেশীয় অস্ত্র ও কিরিচ দেখে ড্রেজারে থাকা স্টাফ ভয়ে সমুদ্রে লাফ দেয়।এখনো পর্যন্ত তার কোন খোঁজ পাইনি।সমুদ্র থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান বিআইডব্লিউটিএ থেকে অনুমতি নেয়া হয়েছে।কিন্তু তিনি প্রতিবেদককে অনুমোদনের ডকুমেন্ট দেখাতে পারেননি।
এদিকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি জানতে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফখরুল ইসলামকে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।